সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবের কাছে সরকার অসহায় বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়া আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও অপসারণের ব্যাপারে অনুরোধ করা হলেও সব ক্ষেত্রে তারা শোনে না। গতকাল বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এখন সবচেয়ে বেশি অপরাধের মাধ্যম ইন্টারনেট। ভিপিএন অপরাধের বড় হাতিয়ার। এক্ষেত্রে অসহায় প্রকাশ করা ছাড়া বিকল্প কিছু থাকে না।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, কেবল টেলিফোন বা আইএসপি দিয়ে অপরাধ হয় না। ডার্ক ওয়েভে অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে। বিটিআরসি কেবল টেলকো অপারেটর ও আইএসপিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এখন আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলো বাংলাদেশের সীমানায় বন্ধ করতে পারে। ২২ হাজারের বেশি পর্নো-জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, যারা আইন-আদালতের কাছে যান তারা আমাদের অবস্থাটা বুঝবেন। তালা মারার ক্ষমতা বিটিআরসির নেই। যে জায়গায় কাজ করার সক্ষমতা রাখি না, তার দায় আমাদের ওপর দিলে অবিচার হবে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, আদালেতের পক্ষালম্বন বা বিরোধিতার কোনোটাই আমরা করছি না। আদালতের রায় দেশের নাগরিক হিসেবে ব্যত্যয় করার কোনো কারণ নেই। আমরা আদালতের বক্তব্যের জন্য সংবাদ সম্মেলন করিনি। বিটিআরসি কোনটা করতে পারে কোনটা করতে পারে না- সেটি স্পষ্ট করার জন্য সংবাদ সম্মেলন।
টিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, সংস্থার মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।