মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৮ মাস আগে বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজ রোববার থেকে খুলে দেওয়া হল স্কুল-কলেজ। এর মধ্য দিয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সশরীরে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হয়ে ক্লাস করার সুযোগ তৈরি হল।
স্কুল-কলেজ খোলায় শিক্ষার্থীদের মাঝেও এক ধরনের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত একাধিকবার শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা আর হয়ে ওঠেনি।
আজ রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, করোনা শুরুর আগের মতো শিক্ষার্থীদের মাঝে নেই হৈ-হুল্লোর। শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস পরে কাঁধে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে ও মুখে মাস্ক পড়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে।
সহপাঠীদের সঙ্গে নেই আগের সেই হৈহুল্লোড়। সামনের বেঞ্চ ধরা নিয়ে নেই হুড়োহুড়িও। শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দূরত্ব বজায় রেখে স্কুলে প্রবেশ করছে।
এদিকে, স্কুলগুলোর ফটকে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার
একটানা দুই সপ্তাহ সংক্রমণ ৫ শতাংশে স্থিতিশীল থাকলেই কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে বলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বলা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে তা আর সম্ভব হয়নি। গতকাল শনিবারও করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৭ শতাংশের ওপরে। যার ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হল।
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৩ কোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে এখন শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে না। আর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি।