দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও স্থানীয় পাইকারী ও খুচরা বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ থেকে কুড়ি টাকা। এভাবে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন বেশ বিপাকে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর। এই স্থলবন্দর দিয়ে দেশের বাজারে সিংহভাগ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী করা হয়। তবে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যবসায়ীদের নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে লক্ষ করার মত।
আমদানিকারকরা বলছেন, তারা আগের দামেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। তবে অসাধু কিছু মধ্যসত্ত্ব ভোগীর কারণে পেঁয়াজের বাজারের এমন অবস্থা। সেজন্য সরকারের নজরদারী বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার বাহাদুর বাজারসহ অন্যান্য পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রকার ভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। বর্তমানে সেই পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। হুট করে পেঁয়াজের এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্রেতারা।
এদিকে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার পিছনে চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ সরবরাহ কমসহ নানান অজুহাত দিচ্ছেন।
আর হিলি স্থলবন্দরের আমদানী রপ্তানীকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানী স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানীকারকরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের কাছে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা দরে বিক্রি করছে। তবে কিছু মধ্যসত্ত্বভোগী এই সুযোগ নিচ্ছেন। সরকারকে এ বিষয়ে এখনই দ্রুত নজরদারী বাড়ানো উচিৎ বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
হিলি স্থলবন্দরের তথ্য অনুযায়ী গত মাসের শেষ সপ্তাহে (বা গেলো এক সপ্তাহে) এই স্থলবন্দর দিয়ে ৭১টি ট্রাকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে ২ হাজার মেট্রিক টন।