যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে পণ্য আমদানি শুরুর পর থেকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ব্যবহার। খরচ, সময় ও ভোগান্তি কম হওয়ায় রেলেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়লে পণ্য আমদানি আরও বাড়বে বলে মত তাদের। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, এরইমধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ভারতের বনগাঁ সীমান্তে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, শ্রমিক ধর্মঘটসহ নানা অযুহাতে ব্যাহত হয় পণ্য পরিবহন। এতে, বিরূপ প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বছরের জুলাই থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে শুরু হয় রেলপথে পণ্য আমদানি। ফলে, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্যের খরচ, সময় ও ভোগান্তি কমেছে। নিশ্চিত হয়েছে পণ্যের নিরাপত্তা।
১৯৯৯ সালে এই রেল রুট দিয়ে পণ্য আমদানি হলেও মাসে যার চালান ছিলো দুটি। আবার, কখনো একটিও রেল আসতো না। মহামারির সময়ে সাইড ডোর কন্টেনার, পার্সেল রেলের মাধ্যমে পণ্য আমদানি হওয়ায় বেড়েছে ব্যস্ততা। ব্যবসায়ীরা জানান, কন্টেইনার টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও ডাবল রেল লাইন চালু হলে গতি আসবে বাণিজ্য কার্যক্রমে।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে বন্দরে দুটি রেল ইয়ার্ড নির্মাণের কাজ চলছে। শিগগিরই এর সুফল ভোগ করবেন ব্যবসায়ীরা।
আর বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদারও বলছেন একই কথা। ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক সুফল আসবে। এছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশ।
গেল ৬ মাসে রেলযোগে বেনাপোলে পণ্য আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭২ মেট্রিক টন। যা থেকে রেলওয়ের রাজস্ব আদায় আয় ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৯ টাকা। আর গেল সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করে রেলওয়ের রাজস্ব আদায় ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৮ টাকা।