বাংলাদেশ দলের নিয়মিত মুখ লিটন দাস। বলা যায় দলের অটোমেটিক চয়েজ এই উইকেট রক্ষক-ব্যাটার। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটে নেই রান, সঙ্গে যোগ হয়েছে বাজে ফিল্ডিংও।
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের প্রথম ম্যাচটায় গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্যাচ ছেড়ে হয়েছেন সমালোচনার পাত্র। বলা যায়, ম্যাচ হারের জন্য তার ঘাড়েই চাপানো হচ্ছে সব দোষ। এরজন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচে লিটন দাসের থাকা না থাকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন, দুইটা ক্যাচ ছাড়াতেই লিটন দাসের অবদান শেষ হয়ে যায়নি।
লিটন দাসকে সেরা ফিল্ডার উল্লেখ করে গিবসন বলেছেন, “লিটন প্রথমত আমাদের দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। তো এক-দুটি ক্যাচ মিসে দলে তার অবদান শেষ হয়ে যাবে না। সে কিন্তু আমাদের মূল ক্রিকেটার এবং অনেকদিন ধরেই তাকে আমরা এভাবে দেখছি। সত্যি বলতে সে না, যে কোন ক্রিকেটারই তো ক্যাচ মিস করতে পারত। তাই আমরা এখন ওকে সমর্থন দিচ্ছি, ওর অবদান স্মরণ করাচ্ছি। অবশ্যই এটা লিটন না যে কোন ক্রিকেটারের জন্যই আমাদের পক্ষ থেকে থাকবে।”
শারজাহ স্টেডিয়ামের ছোট মাঠে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করেছিল ৪ উইকেটে ১৭১ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লঙ্কানরা জিতে যায় ১৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে। যে দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভর করে লঙ্কানরা জিতেছে তাদের দুইজনকেই ফেরানো গেলে ম্যাচটার ফলাফল হতে পারত বাংলাদেশের পক্ষে।
১৪ রানে জীবন পেয়ে ভানুকা রাজাপাকসা খেলেন ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। চারিথ আসালাঙ্কা ক্যাচ দিয়ে রক্ষা পান ৬৩ রানে। তিনি ম্যাচ শেষ করে আসেন ৪৯ বলে ৮০ রান করে।
ক্যাচ ড্রপকে ম্যাচের স্বাভাবিক ঘটনা উল্লেখ করে গিবসন বলেছেন, “দেখুন ক্যাচ প্রতি ম্যাচেই ড্রপ হতে পারে বা হয়। কিন্তু যখন ক্যাচ ড্রপগুলো ম্যাচের ফলে প্রভাব ফেলে তখন সেসব নিয়ে বেশি আলোচনা হয়। অনুশীলনে কিন্তু আমরা নানা ভাবে ক্যাচ অনুশীলন করি। কিন্তু ম্যাচে নানা রকম চাপে ক্যাচ মিস হতে পারে। কিন্তু আমরা স্কিলের দিক থেকে খুব চেষ্টা করি যেন ক্যাচ মিস না হয়।”