রংপুর নগরীর তাজহাট ধর্মদাস আউলিয়া এলাকায় সিনিয়র আইনজিবী আসাদুল হককে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসি রতন নামে এক যুবককে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে।
রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের তাজহাট থানার ওসি রোকনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়,আইনজীবি আসাদুল হক জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য ওজু করছিলেন এ সময় তার বাড়ির দেয়াল টপকে খুনি রতনের নেতৃত্বে কয়েকজন খুনি বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে প্রথমে ছোড়া দিয়ে পেটে আঘাত করে এরপর সে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যাবার সময় আর্শ্বে পার্শ্বের লোকজন রক্তাক্ত ছোড়া সহ খুনি রতনকে আটক করে।
অন্যান্যরা এ সময় পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাজহাট থানার ওসি রোকনুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ এসে আইনজীবি আসাদুল হকের লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসির হাতে আটক খুনিদের অন্যতম খুনি রতনকে আটক করে থানায় নিয়ে নিয়ে যায়। রতনের বাবার নাম জাফর মিয়া ড্রাইভার বাড়ি একই এলাকায়। তবে এলাকাবাসি জানায় এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কি কারনে নৃশংস ভাবে সিনিয়র আইনজীবিকে হত্যা করা হলো তা উদঘাটন হওয়া উচিত।
এদিকে তাজহাট থানার ওসি রোকনুজ্জামান জানান খুনি রতনের কাছে হত্যাকান্ডে ব্যাহৃত ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ওসি জানান নিহত আইনজিবীর স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় তিনি একাকী বাসায় ছিলেন। এই সুযোগটাই নিয়েছে খুনিরা।
অন্যদিকে আইনজীবি আসাদুল হকের হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে রংপুর আইনজীবি সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক এ্যাডভোকেট সহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবি তার বাসায় যান। তারা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন প্রকাশ্য দিনের বেলায় কিভাবে আইনজীবি খুন হয়। তিনি অত্যান্ত সৎ মানুষ ছিলেন তার হত্যাকান্ডকে আইনজীবি মেনে নিতে পারেনা রোববার জরুরী সভা করে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দেবো বলে জানান তারা।