ইন্টারনেটের ঝামেলা ছাড়াই মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে ফেসবুক-মেসেঞ্জার। গতকাল মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক আয়োজনে এ সেবার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তবে এই সেবা আপাতত শুধু গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়। মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও বাংলালিংকও এই সেবা চালুর প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করছে।
মূলত ইন্টারনেট ছাড়াই মোবাইল ফোনে ফেসবুক-মেসেঞ্জার সেবা মিলবে। ইন্টারনেট ব্যালান্স শেষ হয়ে গেলেও গ্রাহকরা ফেসবুক-মেসেঞ্জারে লিখিত বার্তা পাঠাতে বা পড়তে পারবে। তবে ছবি বা ভিডিও দেখা বা আপলোড করা যাবে না।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি দেখেছি, করোনার সময় মোবাইল সেবাদাতারা ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যের বাইরে এসে সমাজে সম্মিলিতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে সহায়তা করছে। ইন্টারনেট ছাড়া ফেসবুক ব্যবহার একটি অসাধারণ উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগণের তথ্য আদান-প্রদান এবং কালেক্টিভিটি নিশ্চিত করে ডিজিটাল ডিভাইড কমাতে এটি সহায়তা করবে।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘সরকার সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে ডিজিটাল কানেক্টিভিটির আওতাভুক্ত করার ওপর জোর দিয়ে আসছে। কিন্তু একে বাস্তবে পরিণত করতে বেসরকারি খাত, বিশেষ করে এমএনওগুলোকে নিজেদের থেকে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।’
এর আগে মোবাইল ফোন অপারেটররা তাদের গ্রাহকদের জন্য ‘ফ্রি ফেসবুক’ সেবা চালু করেছিল। মোবাইল অপারেটর রবি ২০১৫ সালে এই সেবা চালু করে। গ্রামীণফোন ১১০ টাকায় ১৭৫ মিনিট টক টাইমের সঙ্গে এক গিগাবাইট ফেসবুক ডাটা বিনা মূল্যে দিত।
পরে বিটিআরসির নির্দেশে ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ওই সেবা বন্ধ করা হয়। সে সময় গ্রামীণফোন জানায়, ১১০ টাকায় ১৭৫ মিনিটের সঙ্গে এক গিগাবাইট ফেসবুক ডাটা বিনা মূল্যে ছিল।