December 23, 2024, 10:41 am

নিয়ম অনুযায়ী ১৮+ বয়সীরা একাউন্ট খুলতে পারবে।

অনলাইন ডেক্স
  • Update Time : Saturday, November 27, 2021,
  • 88 Time View

বতর্মান বিশ্বে যোগাযোগের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম সোশ্যাল মিডিয়া। এর মাধ্যমে যেকোনো খবর খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফেসবুক। যেখানে সব শ্রেণীর মানুষের বিচরণ সবচেয়ে বেশি। কারণ এটি সহজবোধ্যও বটে।

কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা থেকে পরিলক্ষিত হয়, ফেসবুকের অপব্যবহার দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন উদ্ভট নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা খবর প্রচার করা হয়। বিভিন্ন ছবি, ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে খবর অপপ্রচার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয় জনমনে। তাছাড়া কমেন্টের মাধ্যমে হয়রানি তো রয়েছেই। যেগুলো যৌন হয়রানিমূলক কমেন্ট বা পোস্ট, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, এমনকি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অপপ্রচারের কারণে সংঘর্ষও তৈরি হচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এগুলো কে বা কারা করছে? সহজ উত্তর হচ্ছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই ধরণের অপকর্ম চালাচ্ছে তারা অধিকাংশই ফেইক অর্থাৎ ভুয়া নামে একাউন্ট ব্যবহার করে। এতে পরিচিত গন্ডির মধ্যে হলেও তাদের চেনা বা “আইডেন্টিফাই” করা যায় না। ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী ১৮+ বয়সীরা একাউন্ট খুলতে পারবে। কিন্তু স্কুলের ছেলেমেয়েরাও বয়স বাড়িয়ে দিয়ে একাউন্ট খুলতে পারছে কারণ এখনো ভোটার আইডি বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খোলার অনুমোদন চালু হয়নি। এক্ষেত্রে সরকারের জোরালো পদক্ষেপ প্রয়োজন।

আর একটা বিষয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হলো ফেসবুকের এসব অপপ্রচার বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা কার কাছে যাবো? কতৃপক্ষের কাছে যেতে হলে আমরা সরাসরি নিশ্চয়ই ফেসবুক অথোরিটির সাথে এক ধাপে যোগাযোগ করতে পারবো না। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই তাদের অফিস রয়েছে যেখানে এই সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে চাইলেই সরাসরি সেসব দেশের মানুষ যোগাযোগ করতে পারে।

আমাদের দেশের মানুষের জন্য সেই সুযোগটা নেই। শুধু হয়রানি বা অপপ্রচার নয়, ফেসবুক সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় জানতে আমরা কতৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারিনা। তাই বাংলাদেশেও সেই ব্যবস্থা থাকাটা দরকার যেন চাইলে সহজেই অথোরিটির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। কারণ সব বিষয়ের জন্য সব সময় আইনের হস্তক্ষেপ দরকার পরে না, বরং প্রয়োজন হয় ফেসবুক অথোরিটির সুনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ। বাংলাদেশ থেকে সেই পর্যন্ত যেতে প্রসিডিওর এত দীর্ঘ হয় যে কেউ আর এগোতে চায় না।

তাই ফেসবুকের মাধ্যমে যেকোনো অপকর্ম রোধে সরকারের নজরদারি যেমন অধিক প্রত্যাশিত তেমনি সহজবোধ্য বলেই অপব্যবহারের জন্য যেন সহজলভ্য না হয় সেদিকটা সুনিশ্চিত করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিভিন্ন শিক্ষমূলক পেইজ থেকে জ্ঞানার্জন, অনলাইন ব্যবসায় আয়ের মাধ্যম হিসেবে বিভিন্নভাবে ফেসবুক আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং সহজ করে দিয়েছে। তাই এই মাধ্যমটি “প্রটেক্টিভ” অর্থাৎ সংরক্ষণশীল হওয়াটা ভীষনভাবে জরুরি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71