চট্টগ্রাম নগরীতে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জড়িত থাকার সন্দেহে আবু তাহের নামে এক সিকিউরিটি সুপারভাইজারকে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার নোয়াখলীর কিল্লারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন স্টিল মিল নুরনবীর গলিতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, কয়েক মাস আগে অভিযুক্ত আবদুল জলিল স্ত্রী রওশনকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পরও সন্দেহ করতেন তাহেরের সঙ্গে সাবেক স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কথা বলার বাহানা দিয়ে তাহেরকে বাসার নিচে নিয়ে মারধর করেন। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল জলিল পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানার তহির উদ্দীনের ছেলে। আর নিহত আবু তাহের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী থানার কলমতলী ইউনিয়নের মৃত শামছুদ্দিনের পুত্র। পুলিশ জানিয়েছে, জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী রওশন আরার দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। একপর্যায়ে তাদের তালাক হয়ে যায়। এরপর আব্দুল জলিল নোয়াখালী চলে যায়। আর স্ত্রী রওশন ১২ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্টিল মিল এলাকায় বসবাস করেন।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি খুন হওয়ার পর তার মেয়ে রাজিয়া সুলতানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে নোয়াখালীর কিল্লার হাট এলাকা থেকে জলিলকে আটক করা হয়েছে। আব্দুল জলিলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।