নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সব সংস্করণে টানা ৩২ ম্যাচ হারের পর অবশেষে এলো সেই কাঙ্খিত জয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। আর সেই নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারিয়ে টেস্টে ঐতিহাসিক এক জয় পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে প্রথম টেস্টের শেষ দিনে জয় পেয়েছে টাইগাররা।
কিউইদের দেওয়া ৪০ রানের টার্গেটে ২ উইকেট হারিয়েই জিতে যায় বাংলাদেশ।
নানান প্রশ্ন, সমালোচনার মোক্ষম জবাব এই জয়। নানান কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দেয়া নতুনের কেতন উড়ানো দলটিই করে দেখাল ইতিহাস গড়ে অসাধ্যকে সাধন করে।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে টেস্টের পঞ্চম দিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেটের। আর এবাদত তাসকিনরা সেটা করতে সময় নিললেন স্রেফ ১০ ওভারের একটু বেশি। আগের দিনের ৪ উইকেটে সাথে আজ সকালে এবাদত শুরুতেই ফেরালেন কিউ্ই কিংবদন্তী রস টেলরকে। সঙ্গে টেস্টে ৫ উইকেটের এলিট ক্লাবে ঢুকে গেলেন এই পেসার। জবাব দিলেন সম্প্রতি টেস্টে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কড়া সমালোচনার। সাথে প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ টেস্ট পর টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন কোনো বাংলাদেশের পেসার।
এরপর কাইল জেমিসনকে শরিফুলের হাত দিয়ে এবাদত গড়েন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। দিন শেষে এই ৪৬ রানে ৬ উইকেট ম্যাচ সেরার ট্রফিটাও যোগ হয়েছে এবাদতে সাফল্যের মুকুটে।
পরের আঘাত তাসকিন আহমেদের। রচিনকে লিটনের তালুবন্দি করে স্বপ্নের আরো কাছে নিয়ে গেলেন বাংলাদেশকে। ফিরিয়েছেন টিম সাউদিকেও বোল্ড করে এই পেসার নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।
আর কিউই ইনিংসের শেষটা টানেন মেহেদী মিরাজ। ১৬৯ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪০ রান। ব্যাট করতে নেমে সাদমান ফিরেছেন সাউদির বলে। শান্ত চমতকার শুরু করেও জেমিসনের বলে শেষটা করতে পারেননি।
তবে দুই অভিজ্ঞ মুমিনুল আর মুশফিক করেননি ভুল। টেস্টের ১৩ সেশনের ১১টিতে দাপট দেখিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক প্রথম টেস্ট জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।