অনলাইন ডেস্ক
রোববার দুপুরে মুগদা হাসপাতালে করোনার টেস্ট করাতে আসা ব্যক্তিদের ভিড়ের ছবি তুলতে এসেছিলেন ফটো সাংবাদিক রুবেল রশিদ এব ফটো সৌরভ লস্কর। কিন্তু এসে যা দেখলেন তা রীতিমতো অমানবিক। হাসপাতালের সামনে প্রখর রোদে এক তরুণ বেহুশ হয়ে পড়ে আছে। তার ধারে কাছে কেউ যাচ্ছে, ভয় করোনার ভয়।
ফটোসাংবাদিক রুবেল মানলেন না, তার কাছে ধরা দিলো মানবিকতা বড় ধর্ম। সকল ভয়কে পাশ কাটিয়ে তরুণের পাশে চলে গেলেন। তাকে একটু পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করেন রুবেল, ছেলেটি বেঁচে আছে। পানি খেতেই স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে। এরপরেই মাথায় পানি ঢালা হয়।
তরুণ নিজেই জানায়, তার বোনের সঙ্গে এখানে এসেছিলেন। প্পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়লে বোন তাকে ওভাবেই রেখে যায়। তরুণের নাম আল আমিন।
যুবকটি জানান, তার নাম আল আমিন। রাজধানীর পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকায় তার চায়ের দোকান আছে। কয়েকদিন থেকে সর্দি-জ্বরে ভুগছেন। তাই বোনকে নিয়ে মুগদা হাসপাতালে করোনার নমুনা দিতে এসেছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী নওশাদ জামিল সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, করোনা ভাইরাস কাউকে কাউকে কত অমানবিক বানিয়ে দেয়, এ ছবি তার প্রমাণ! ক্যাপশন ও খবর থেকে জানা গেল, বড়বোন তার ছোট ভাইকে নিয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন মুগদা জেনারেল হাসপাতালে।
সারাদিন ঘোরাঘুরি করেও পরীক্ষা করার সুযোগ পাননি। অতঃপর বোন তার ছোটভাইকে ফেলে রেখেই পালিয়ে যান। ছোট ভাই আল-আমীন জ্বরের ঘোরে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন একটু চিকিৎসার আশায়, একটু মায়া-মমতার আশায়।