শেষপর্যন্ত দর্শক ছাড়াই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদি টুর্নামেন্ট চলাকালে করোনা পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন হয় তবে দর্শকদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের অষ্টম আসর। দুই বছরের বিরতি কাটিয়ে এমন এক সময় বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে, যখন দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ নতুন করে বেড়েছে।
করোনার বিস্তার রোধে সরকার থেকে যে ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা মানতে গেলে বিপিএলে দর্শক অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও বিসিবির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ইসমাইল হায়দার চৌধুরী মল্লিক বলেন, ‘সরকারের বিধিনিষেধ পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রাথমিকভাবে কোনো দর্শক অনুমোদন করব না। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারি সরকারের সাথে আলাপ করে। তখন দুই ডোজ করোনা টিকা দেওয়া ছাড়া কেউ মাঠে ঢুকতে পারবেন না। যদি দর্শক অনুমোদন করি, তাহলে দুই ডোজ টিকার সনদ দেখে অনুমোদন দিব।
করোনা পরবর্তী সময়ে মাঠে দর্শক ফিরেছিল পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে। তবে সেই সিরিজে ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনের দর্শককে খেলা দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরিকল্পনা ছিল বিপিএলে দর্শক সংখ্যা বাড়ানোর। তবে বাধ্য হয়ে আপাতত বোর্ডকে হাঁটতে হচ্ছে উল্টো পথে।
করোনা সঙ্কট বাড়লে শেষ পর্যন্ত বিদেশি ক্যাটাগরিতে ৩ ক্রিকেটার খেলানোর বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিতে পারে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। এমন তথ্য জানিয়েছেন বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
তবে এখনই ৩ বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে না দিলেও চিন্তিত গভর্নিং কাউন্সিল। বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, একান্তই টুর্নামেন্ট শুরুর পর সমস্যা দেখা দিলে তখন সিদ্ধান্ত নেব। তবে গভর্নিং কাউন্সিল একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বোর্ডের সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে বিপিএলের এবারের আসরে থাকছে না ডিআরএস বা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম। করোনা পরিস্থিতি বড় কারণ হলেও একই সময়ে আয়োজিত পাকিস্তানি টুর্নামেন্ট পিএসএলে থাকছে ডিআরএস।