চিকিৎসাধীন সাবেক বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। অবনতিও নেই।
শরীরের ‘প্যারামিটারগুলো’ আগের মতোই ওঠানামা করছে। আশঙ্কাজনক অবস্থা এখনো কাটেনি তাঁর।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ‘ক্লোজ’ মনিটরিং করছেন। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছেন। গতকাল রাতেও তারা বৈঠক করে অবস্থার পর্যালোচনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, করোনা বা ওমিক্রন ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় সতর্কতার অংশ হিসেবেই মূলত হাসপাতালের সিসিইউ (করোনারি কেয়ার ইউনিট) থেকে তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। কেবিনেও সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শেই এটা করা হয়েছে। তবে তাঁকে (গুলশানের) বাসায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দেশব্যাপী মহামারির মাত্রা আরও বেশি মাত্রায় বেড়ে গেলে তাঁকে বাসায়ও নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ‘ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থার মধ্যেই রয়েছেন তিনি’ উল্লেখ্য,
গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বেগম জিয়ার চিকিৎসা পরিচালনা করছেন।