খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুতগিততে ছুটে আসছিল। এ সময় ললাইনের ওপর দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ওই শিশুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন এক ব্যবসায়ী। কিন্তু রেললাইনের ওপর উঠে ছেলেটিকে রক্ষা করতে পারলেও নিজের জীবন আর রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যশোর শহরের মুজিব সড়কের রেলগেটে। মারা যাওয়া ওই ব্যবসায়ীর নাম আবদুল হাকিম (৫৫)। তিনি যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে।
তার ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, আবদুল হাকিমের ঘড়ির দোকান ছিল। যশোরের হাঁটার সাথী নামে একটি সংগঠনের সদস্য তিনি। প্রতিদিনের মতো ভোরে সংগঠনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তিনি হাঁটতে বের হয়েছিলেন। হাঁটা শেষে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শহরের রেলগেট পার হচ্ছিলেন।
এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক এ সময় হঠাৎ করে একটি শিশু রেললাইনের ওপর উঠে পড়ে। শিশুটিকে বাঁচাতে দৌড়ে এগিয়ে যান আবদুল হাকিম। কিন্তু সেই শিশুটিকে টেনে রেললাইনের বাইরে নিয়ে আসতে পারলেও তিনি পা পিচলে পড়ে যান। এতে তার মাথায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কা লাগে।
স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় আবদুল হাকিম মারা গেছেন।