পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর জাদুকরী শেষ ওভারে মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় পেলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শেষ ওভারে মিনিস্টার ঢাকার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান।
প্রথম বলেই মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বোল্ড করেন কাইস আহমেদকে। ক্রিজে থাকা তামিম ইকবালের সঙ্গী হন নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম।
শেষ বলে নো বলও দিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। ফ্রি হিটের সঙ্গে এক বল বেশি পেয়েও তামিম-নাঈম ৫ রানের বেশি নিতে পারেননি। ফলে ৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। আর এই জয়ে প্রতিযোগীতায় টিকে রইল আফিফের দল।
সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে চট্টগ্রাম। সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে শামীমের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন বেনি হাওয়েল।
ম্যাচে ঢাকার হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা, ফজল হক ফারুকি, আরাফাত সানি, এবাদত হোসেন, কাইস আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহ প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট নেন।
১৪৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০ রানের মাথায় উইকেট হারায় ঢাকা। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম ইকবাল। দলকে জেতাতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৯ বলে করেন ২৪।
মাঝে ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে যান শুভাগত হোম। তবে শেষদিকে তামিম ও নাঈম শেখের ব্যর্থতা ও মৃত্যুঞ্জয়ের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ জেতা হয়নি ঢাকার। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।
মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা একাদশ: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, নাঈম শেখ, শুভাগত হোম, আরাফাত সানি, এবাদত হোসেন, ইমরানউজ্জামান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ শাহজাদ (উইকেটরক্ষক), ফজলহক ফারুকি এবং কাইস আহমেদ।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একাদশ: আফিফ হোসেন ধ্রুব (অধিনায়ক), আকবর আলী (উইকেটরক্ষক), জাকির হাসান, বেনি হাওয়েল, মেহেদী হাসান মিরাজ, উইল জ্যাকস, চ্যাডউইক ওয়ালটন, শরিফুল ইসলাম, শামীমম হোসেন পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।