সময়ের আলোচিত নাম নায়ক জায়েদ খান। আর বরাবরই নানা উদ্ভট কান্ড করে আলোচনায় থাকেন হিরো আলম। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটে জিতেও চেয়ারে বসা হয়নি তার। গিয়েছেন হাইকোর্ট পর্যন্ত।জায়েদ খান ও নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদে বসা এখন আটকে আছে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এই ভোটের আলোচনার মধ্যেই নতুন করে আলোচনায় জায়েদ খান। এই নায়কের অফিশিয়াল ফেসবুক আইডিতে গিয়ে দেখা যায় তাকে রিমেম্বারিং দেখাচ্ছে। সাধারণত কেউ মারা গেলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার অ্যাকাউন্টটি রিমেম্বারিং করে দেয়।
কিন্তু জায়েদ খান বেঁচে থাকতেই ‘মৃত’ বলছে ফেসবুক! ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জায়েদ খানের প্রোফাইলে লিখেছে, ‘আমরা আশা করি যারা জায়েদ খানকে ভালোবাসেন, তারা তাকে স্মরণ ও সম্মানিত করার জন্য তার প্রোফাইল পরিদর্শন করে সান্ত্বনা খুঁজে পাবেন। ’
তবে ফেসবুকের এমন কাণ্ডে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি জায়েদ খানের। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ জায়েদ খানের আইডি হ্যাক করে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন। এর আগেও একই কাণ্ড ঘটেছিল। গত ২১ জানুয়ারিও জায়েদ খানকে ‘মৃত’ দেখায় ফেসবুক।
ওই সময় এ বিষয়ে জায়েদ খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘কাজটি শয়তানে করেছে। ’ যদিও একদিন পর তার আইডি থেকে ‘রিমেম্বারিং’ লেখাটি সরিয়ে নেয় ফেসবুক।
এদিকে, আজ শুধু জায়েদই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত হিরো আলমকেও ‘মৃত’ দেখাচ্ছে ফেসবুক। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিরো আলমের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে দেখা যায়, তাকে রিমেম্বারিং দেখাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, আমি জানি না কার কি ক্ষতি করেছি। মানুষ একের পর এক আমার পেছনে লেগেছে। আমি ফেসবুক আইডি, পেইজ কিছুই টেকাতে পারছি না। আমার একের পর এক আইডি হ্যাক ও রিপোর্ট মেরে নষ্ট করতেছে।
বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার ফেসবুক আইডিটা ফেসবুকে মৃত ঘোষণা করাইছে, আজ আবার পেইজটা মৃত দেখাচ্ছে। আমি বুঝতেছি না কি কারণে লোকজন আমার ক্ষতি করতেছে। এই মুহূর্তে আমার আর কোনো ফেসবুক আইডি নেই। পেইজটা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করতেছি।