চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে জল কম ঘোলা হয়নি। ‘টক অব দ্য’ কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণের দ্বন্দ্ব। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নিপুন-জায়েদের লড়াইটা শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে আদালতে। ওই পদে ‘স্থিতাবস্থা’ দিয়েছেন আদালত।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ পদে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার কেউই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ওই দিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন। ১৩ তারিখে জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল।
স্থিতাবস্থার ব্যাপারে চেম্বার বিচারপতি বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সে পর্যন্ত কেউ কার্যালয়েও প্রবেশ করতে পারবেন না।
তবে গুঞ্জন উঠেছে আদালতের আদেশ অমান্য করেই সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন নিপুণ। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে নিপুণ বসার খবর চাউর হয়েছে।
তবে এসব খবরকে শুধুই ‘গুজব’ বললেন নিপুণ। দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি অনলাইন গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এগুলো মিথ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমার নেমপ্লেট যেদিন আমি শপথ নেই সেদিনই তৈরি করা হয়েছিল। আর আজ আমি কোনো দায়িত্ব পালন করিনি। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সারাদিন ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছি৷ কমিটির কেউ হিসেবে নয়। ’
‘এছাড়াও সমিতির একজন সদস্য হিসেবে আজ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূরের জন্মদিন উদযাপন করেছি। সব না জেনে যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন তারা একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বলে মনে করি আমি। ‘
নিপুণ আরও বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যে রায় দেবে তার দিকেই তাকিয়ে আছি৷ আদালত অবমাননা করে ক্ষমতায় বসার কোনো কারণ নেই। ’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এক সভা শেষে এ ঘোষণা দেন। এরপর আপিল বোর্ডের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করলে নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করে জায়েদের পদ বহাল রাখে হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিপক্ষে আপিল করলে পদটিতে স্থগিতাদেশ দেন আদালত। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত হবে কে বসবেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে।