যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে পাকিস্তান।
দলীয় ৯ রানেই সুশান্ত মিসরার বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ হুরায়রা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিও বেশিদূর এগোতে পারেনি। দলীয় ৩৪ রানে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেয় ওয়ানডাউনে নামা ফাহাদ মুনির। তাকে প্যাভিলনের পথ দেখান রবি বিস্ময়।
৬১ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন ওপেনার হায়দার আলী। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭৭ বলে ৫৬ রান। তিনি যখন আউট হন তখন দলীয় রান ৯৬। এরপরই শুরু হয় ধস। অধিনায়ক ছাড়া আর কেউই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। ৬২ রান করে বিদায় নিলে অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৭২ রানের বেশি এগোতে পারেনি পাক যুবারা।
এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে টস জেতে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অধিনায়ক রোহিল নাজির প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
টস জিতে পাক অধিনায়ক নাজির জানান, সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে স্কোর বোর্ডে বড় রান তুলে ভারতকে চাপে ফেলাই তাদের লক্ষ্য।
ভারত অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বলেন, শুরুতে বল করতে হওয়ায় তিনি খুশি। দু’দলই তাদের কোয়ার্টার ফাইনালের উইনিং কম্বিনেশন ধরে রেখে মাঠে নামে সেমিফাইনালে।
পাকিস্তান একাদশ:
হায়দার আলি, মহম্মদ হুরাইরা, রোহিল নাজির (ক্যাপ্টেন ও উইকেটকিপার), ফাহাদ মুনির, কাসিম আক্রম, মহম্মদ হ্যারিস, ইরফান খান, আব্বাস আফ্রিদি, তাহির হুসেন, আমির আলি ও মহম্মদ আমির খান।
ভারত একাদশ:
যশস্বী জসওয়াল, দিব্যাংশ সাক্সেনা, তিলক বর্মা, প্রিয়ম গর্গ (ক্যাপ্টেন), ধ্রব জুরেল (উইকেটকিপার), সিদ্ধেশ বীর, অথর্ব আঙ্কোলেকর, রবি বিষ্ণোই, সুশান্ত মিশ্র, কার্তিক ত্যাগী ও আকাশ সিং।