অনলাইন ডেস্ক
আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা এবং অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে কেন্দ্র করে। তাই বাজেটে করোনা মোকাবেলায় থাকছে ১৬ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ।
এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা রাখা হচ্ছে সরাসরি করোনা মোকাবেলায় খরচের জন্য। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প-কারখানার জন্য সরকার ঘোষিত প্যাকেজের সুদ খাতে খরচ বাবদ রাখা হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। আর দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে বাংলাদেশ পাটকল সংস্থার (বিজেএমসি) শ্রমিকদের জন্য।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার প্রভাবে পুরো অর্থনীতি থমকে গেছে। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাজেটে পৃথক বরাদ্দ রাখা ইতিবাচক দিক। তবে এসব বরাদ্দ যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
এদিকে, সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে বাজেটে বাড়ানো হচ্ছে করমুক্ত আয়সীমা। চার অর্থবছর পর করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়ছে। এর ফলে করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা হচ্ছে।
এ ছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা থাকছে বিশাল। তা ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে থাকবে নানা ছাড়। তাই আয়কর আদায় বাড়ানোর জন্য অন্ততপক্ষে ১০ লাখ নতুন করদাতা খুঁজে বের করার জন্য একটি ক্র্যাশ প্রগ্রাম হাতে নেওয়া হচ্ছে।