স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গেই বিএনপি ঐক্যের রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (০৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের সমালোচনা করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (০৪ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে ‘পরিকল্পিত মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলছে, তারা নাকি বিভাজনের রাজনীতি করে না। এটা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনি ছাড়া কিছু নয়। এদেশের রাজনীতিতে বিএনপিই বিভাজন রেখা ও ঐক্যের সংকট সৃষ্টি করেছে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি এবং রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের ধারক ও বাহক হলো বিএনপি। তাদের চাতুর্যপূর্ণ কথার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ংকর কুৎসিত পরিকল্পনা।
কাদের বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন যাদের অস্থিমজ্জায়, দুর্নীতি আর লুটপাট যাদের রাজনীতি―তারা যতই চটকদার কথা বলুক না কেন জনগণ এখন এসব অপকৌশলে আস্থা রাখে না। স্বৈরশাসন, অপপ্রচার, গুজব, মিথ্যাচার, দুর্নীতি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতার রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চরম হতাশায় নিমজ্জিত বিএনপি নেতারা লাগাতার অসংলগ্ন, অবাস্তব ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করছে। দেশের ভেতরে নানামুখী অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ও ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশ ও জনগণবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন উদভ্রান্ত পথিকের মতো প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। ক্ষমতার তৃষ্ণায় কাতর নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে মঞ্চ গরম করা বক্তব্য দেওয়া বিএনপি নেতারা ভালোভাবেই জানে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে আটক রাখা বা ছেড়ে দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
‘কেননা তিনি দুর্নীতির দায়ে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের আরেক নেতা তারেক রহমানও সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির দায়ে আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। দুর্নীতি তাদের অস্থিমজ্জায়। সুতরাং দুর্নীতিকে বৈধতা দিতে বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে। ’