অনেক ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলতে রাজি হন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জানা গেছে, তিনি ১৪তম আইপিএল থেকেই ‘মানসিক সমস্যায়’ ভুগছিলেন। করোনা সংক্রমণের কারণে স্থগিত হওয়া আইপিএল থেকে (ভারত) দেশে ফিরে তিনি পালন করেছিলেন কোয়ারেন্টাইনের কঠোর নিয়ম কানুন। ওই সময় তার মানসিক অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছিলো যে, তিনি আত্মহত্যার চিন্তা পর্যন্ত করেছিলেন।
একটি বেসরকারী টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটি জানিয়েছেন, ক্রিকেট বিশ্লেষক ও কোচ, সাকিবের ক্রিকেট গুরু নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আইপিএলের বায়োবাবল থেকে দেশে আসার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হয়েছে সাকিবকে। এর জন্য সাকিব মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। ওদেরকে (সাকিব, মুস্তাফিজ) বলা ছিল, দুদিন কঠোর কোয়ারেন্টাইন করতে হবে, এরপর চলে যেতে পারবেন। তবে সাকিবকে পুরো ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হয়েছিল। এটা ওর জন্য বেশ বড়ো ধাক্কা ছিলো। আমি জানি, তখন ও (সাকিব) সুইসাইডাল চিন্তাভাবনার মধ্যে ছিল।
তিনি জানান, এখনো মানসিকভাবে ‘সুস্থ নন’ সাকিব আল হাসান। ফলে আফগানিস্তান সিরিজে নিজের মতো খেলতে না পারা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে সরিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনার জন্ম হয়েছিল। তবে আইপিএলের ১৫তম আসরের নিলামে দল না পাওয়ায় সাকিব মানসিকভাবে আরও বড় আঘাত পেয়েছেন বলে ধারণা করছেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এটাও সাকিবের মানসিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
ফাহিম বলেন, ‘এমনও হতে পারে সে নিজেকে অবমূল্যায়িত মনে করেছে (আইপিএলে দল না পেয়ে)। সেটা একটা আঘাত হতে পারে। আপনি একজন আর্টিস্ট যেখানে আপনার জায়গা পাওয়ার দরকার ছিল, নিশ্চিত ছিলেন, তবে সেটা পাননি। ’