অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে ৫ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায়, হাসপাতালটির অকার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মিলেছে।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের করা তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটা উঠে এসেছে। তদন্ত প্রতিবেদনটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় আইসোলেশন ইউনিটটি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ছাড়াই তৈরি করা হয়। যেখানে মেয়াদ উত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা হয়, ফায়ার ডিটেকশনের কোন সিস্টেম ছিলো।
আইসোলেশন ইউনিটে কর্তব্যরত ডাক্তার, নাস বা কর্মকটা কারোরই অগ্নিনির্বাপকের কোন ট্রেনিং ছিলো না। এছাড়া রাত সাড়ে ৯ টার পর আগুন লাগলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা ফায়ার সার্ভিসকে জানায়নি। ৯ টা ৫০ এ রোগীর এক স্বজনের টেলিফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আগুন লাগার সাথে সাথে যদি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো কাজ করতো বা ওই সময় কর্তব্যরতরা যদি দায়িত্বপালন করতো তাহলে আগুন এতটা ছড়াতো না বা প্রাণহানিও ঘটতো না।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান দেবাশীষ বর্ধমান সময় সংবাদকে জানান, নিয়ম অনুযায়ী আমরা এক সপ্তাহ তদন্ত করেই রিপোর্ট দাখিল করেছি। এ ঘটনায় ২০ জনের জবানবন্দি ও ঘটনাস্থল থেকে আলামত গ্রহণ করেছি।
অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের ডাইরেক্টর অপারেশন্স লেফটেন্যন্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, ইউনাইটেডে আগুনের ঘটনায় ৪ দফা সুপারিশ করেছে ফায়ার সার্ভিস।
যেখানে হাসপাতালটির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক,নাসসহ অন্যদের ফায়ার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ৩ জুন পাঁচ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে ইউনাইটেডের চেয়ারম্যান, এমডি এবং সিইও’সহ পুরো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুলশান মামলা দায়ের করেছে নিহত এক রোগীর স্বজন। গত ২৮ মে হাসপাতালটির আইসোলেশন ইউনিটে আগুনে ৫ রোগীর মৃত্যু হয়।