ঘুমন্ত এক গৃহবধূর চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নওগাঁর সাপাহারে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের আইহাই দিঘিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে গৃহবধূ বাদী হয়ে শ্বশুর, শাশুড়িসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে আইহাই দিঘিপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছোট ছেলে জোবায়ের হোসেনের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়।
জোবায়ের পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক। জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রামে কাজ করেন এবং মাঝে মধ্যে বাড়ি আসেন। গৃহবধূ মাঝে মধ্যে বাবার বাড়ি এবং কখনো শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে। কয়েকদিন আগে ওই গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি আসেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে গৃহবধূ তার ছোট ননদকে সঙ্গে নিয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে বুঝতে পারেন তার চুল কেউ ঘরের মেঝেতে ফেলে রেখেছে। এ ঘটনা নিয়ে রাতেই ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। পরদিন সকালে তিনি বাবার বাড়ির সদস্যদের জানান। সংবাদ পেয়ে গৃহবধূর মা এসে তার মেয়ের মাথার চুল কাটা দেখেন। তিনি মেয়ে নিয়ে যেতে চাইলে শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। পরে পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার মায়ের জিম্মায় দেয়।
এ বিষয়ে গৃহবধূর শ্বশুর আশরাফ আলী বলেন, ‘আমার পরিবারের লোকজনকে হয়রানি করতে ছেলের বউ নাটক সাজিয়েছেন। তার সঙ্গে পরিবারের কারো মনোমালিন্য হয়নি। তাহলে তার চুল কে কাটবে? মামলার তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখান থেকে ওই গৃহবধূর কিছু কাটা চুল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান বলেন, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শ্বশুর, শাশুড়িসহ তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।