রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন। আজ বুধবার নিউমার্কেট সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনকে নিয়ে আমরা কমিটি গঠন করব।
যাতে ভবিষ্যতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র না করে এই রকম সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে।
তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দুই পক্ষের আলোচনার মধ্যে দোকান খোলা হবে। খুব শিগগিরই দোকান খুলে দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন বিষয়টি মীমাংসা করবেন।
এদিকে, নিউমার্কেট এলাকায় বুধবার সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নিউমার্কেট ও আশপাশের মার্কেটগুলোতে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের চাঁদাবাজি, ফাও খাওয়া বা কম মূল্য পরিশোধ নয়, দুটি ফাস্টফুড দোকানের কর্মচারীদের বিবাদ থেকে নিউমার্কেটে সংঘাতের শুরু সোমবার। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, সোমবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে রামদা হাতে সাদা টি-শার্ট পরা এক তরুণের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল নিউমার্কেটে প্রবেশ করে। হাতে রাম দা দেখে নিরাপত্তারক্ষী তা কেড়ে নেয়।
এরপর তারা ওয়েলকাম ফাস্টফুডে ঢুকে সেখান থেকে বেরিয়ে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের দিকে যায়। সেখানে দোকানের বাইরেই গণ্ডগোল শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর মার খেয়ে পালিয়ে যায় বহিরাগত তরুণরা। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। তারা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে ক্যাপিটাল নামের দোকানটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
দোকান কর্মচারীরা ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে খবর শুনে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেলমেটধারী এক দল ছাত্র ৪ নম্বর গেটে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর উত্তেজনা ছড়ায় দুই পক্ষে।
শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে নাহিদ (১৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় আহত অবস্থায় নাহিদ রাস্তায় পড়েছিলেন। তিনি বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করতেন।