মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যবহৃত পোশাক দেখতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হিরকা-ই শেরিফ মসজিদে হাজারো মানুষ ভিড় করেছেন। করোনা মহামারিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই প্রদর্শনী দুই বছর পর শুক্রবার (২২ এপ্রিল) আবার শুরু হয়েছে।
তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ বলছে, হযরত উওয়াইস আল-কারনিকে (রা.) পোশাকটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তার বংশধররা এটি দীর্ঘ ১৪শ বছর ধরে যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করে আসছেন।
রাসুল (সা.) এর পোশাক দেখতে ওই মসজিদে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ নিদর্শন শুধু পবিত্র রমজান মাসে প্রদর্শন করা হয়।
শুক্রবার জুমার নামাজের আগে কিছু মানুষকে মসজিদের ভেতরে কাচে মোড়ানো বাক্সে পোশাকটি দেখার সুযোগ দেওয়া হয়। বাইরে আলাদা আলাদা সারিতে হাজারো নারী ও পুরুষ মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
মানুষের এত ভিড় থাকার পরও কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দর্শনার্থীরা ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র ব্যক্তিত্বের ব্যবহৃত পোশাক দেখার সুযোগ পেয়ে খুশি। অনেকেই পোশাকটি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার কেউ কেউ নামাজ পড়েন। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাকটির প্রদর্শনী চলবে।
পোশাক দেখতে মসজিদে আসা লায়লা কাহরামান বলেন, রাসুল (সা.) এর ব্যবহৃত পোশাক দেখতে পাওয়ার খুশিতে গতরাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। আমি গত দুই বছর ধরে এটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।
লাইলা তার ৯ বছর বয়সী ছেলে ওমর ফারুককে নিয়ে মসজিদে এসেছিলেন রাসুল (সা.) এর ব্যবহৃত পোশাক দেখতে। সে বলে, আমি রাসুলকে (সা.) অনেক ভালোবাসি। আমি এখানে আসতে পেরে খুবই খুশি।
রাসুল (সা.) প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় রাখতেন না এবং বেশি অভিজাত কাপড়ের প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল না। যখন যে ধরনের কাপড় পাওয়া যেত, সেটাই তিনি পরিধান করতেন। (জাদুল মাআদ : ১/৫৩) । বেশির ভাগ সময় রাসুল (সা.) একটি চাদর গায়ে দিতেন আর আরেকটি সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করতেন। (শামায়েলে তিরমিজি : ৮) অনেক সময় রাসুল (সা.)-এর কাপড়ে তালি লাগানো থাকত। (মাদারেজুন নবুয়ত)