দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করা এ লঘুচাপ শনিবার (৭ মে) সন্ধ্যা বা রাতে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের গতি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে। দিক পরিবর্তন না করে এভাবে এগিয়ে যায় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর তা ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে সর্বোচ্চ গতি উঠতে পারে ১০০ কিলোমিটার। যে গতিপথ ধরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি অগ্রসর হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা কম।
এদিকে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতে সরাসরি আঘাত হানার শঙ্কা দেখা দেওয়ায় দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এরপর রোববার (৮ মে) যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এর নাম হবে ‘আসানি’। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষার শব্দ ‘আসানি’। এর মানে হলো ‘ক্রোধ’।
এ বিষয়ে শনিবার (৭ মে) শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সানাউল হক মণ্ডল বলেন, ইতিমধ্যে লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। আজ এটি সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। সে হিসেবে এটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
তিনি আরও বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের গতি আপাতত উত্তর-পশ্চিম দিকে আছে। নিম্নচাপ হওয়ার পরও এটি উত্তর-পশ্চিম দিকেই এগোতে পারে। সে অনুযায়ী এটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তবে সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানলেও বাংলাদেশের সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমূল হক বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপেটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পরবর্তী নিদের্শনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।