সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মাত্র ৮০০ টাকার জামিনদার হয়ে জীবন দিতে হলো হাফিজ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে। শনিবার রাতে উপজেলার পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হাফিজ গ্রামের আছদ্দর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ফয়জুল বারীকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে। ফয়জুলও একই গ্রামের মিরাস আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাফিজ ও ফয়জুল উপজেলার পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন। উপজেলার ভোলাগঞ্জ বাজারে দুজনেরই হাঁস-মুরগির ব্যবসা রয়েছে। কিছুদিন আগে ফয়জুলের দোকান থেকে ৮০০ টাকা বাকিতে দুটি মুরগি কিনতে আসেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ছেলে। কিন্তু ফয়জুল বাকিতে দিতে রাজি হননি। তখন হাফিজ জামিনদার হন। টাকা না দিলে তিনি নিজে তা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই টাকা চাইতে গতকাল শনিবার রাতে হাফিজের বাড়িতে যান ফয়জুল এবং কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে গাছের টুকরো দিয়ে মাথায় আঘাত করলে হাফিজ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাফিজের ছেলে লাবিব বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে বাবা ঘুমে ছিলেন। এ সময় ফয়জুল এসে জোরে জোরে ডাকাডাকি এবং দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। এতে বাবা ভয় পেয়ে প্রথমে দরজা খোলেননি। একপর্যায়ে দরজা ভাঙার উপক্রম হলে তিনি দরজা খুলে বের হন। তখন ফয়জুল গাছের টুকরো দিয়ে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। ‘
খুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ‘ নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে আজ রবিবার থানায় মামলা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান আসামি ফয়জুল বারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘