১৩ মামলায় কারাগারে ছিলেন রাসেল হোসেন ওরফে কাটা রাসেল। তবে কারাগারে থাকাবস্থায় স্ত্রী লাবণ্য সিদ্দিকা সাথী রাসেলের বন্ধুকে বিয়ে করেন। মূলত এ বিয়ের প্রতিশোধ নিতেই রাসেল জামিনে বেরিয়ে বন্ধুকে খুন করে বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকালে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর সংবাদ জানান, সোমবার (১৩ জুন) রাতে মিরপুর এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে সে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। পরে নিজস্ব সোর্স এবং তথ্য-প্রমাণ ও প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়।
রাসেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, প্রায় ৭ বছর আগে নিজেদের পছন্দে চক বৌদ্ধনাথপুর এলাকার সাথীর সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রেদোয়ান আহমেদ রোজ (৫) নামে একটি সন্তান রয়েছে। ২৩ মার্চ দস্যুতার ঘটনার সাথে জড়িত সংক্রান্ত নাটোর সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন। জেল হাজতে থাকাবস্থায় সাথী তার স্বামী রাসেলকে ডিভোর্স দিয়ে রাকিবকে বিয়ে করে নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। রাসেল ওই সংবাদ পেয়ে রাকিবের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ছক কষতে থাকেন। ১ মে সে জামিনে মুক্তি লাভ করে এলাকায় এসে খুঁজতে থাকে রাকিবকে।
উল্লেখ্য, ১ জুন দুপুরে কৌশলে রাকিবকে ডেকে নিয়ে আসে নাটোর রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মের তিন নম্বর ওভারব্রিজের উপর। সেখানে রাকিব তার স্ত্রীর সাবেক স্বামী এবং তার সাবেক বন্ধু রাসেলকে দেখা মাত্রই দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে তার লোকদের সহায়তায় হত্যার উদ্দেশ্যে তার পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় উপস্থিত লোকজন তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
সিআইডি কর্মকর্তা আরও জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি মামলা তদন্তাধীন ও ১২টি মামলা আদালতে বিচারাধীন।