এম.এস রিয়াদ,বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলার ২নং গৌরীচন্না ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর লাকুরতলা গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ ২ কিলোমিটার এই রাস্তাটির আজও চরম দুর্দশা, দেখার কেউ নেই।
সোনার বাংলা মোল্লাবাড়ি বাঁধঘাট মহাসড়ক থেকে লাকুরতলা সোনারবাংলা স্কুল পর্যন্ত ৮শ’ মিটার রাস্তার অবস্থা চরম বিপর্যস্ত। সোনারবাংলা স্কুল থেকে পূর্ব দিকে গোঞ্জে আলীর গুদি উত্তর লাকুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম-সাইক্লোন শেল্টার পর্যন্ত প্রায় ১২ শ’ মিটার কাঁচা রাস্তা।
বর্ষার সময় কাঁচা রাস্তাটিতে নালা খন্দের সৃষ্টি হয় এবং কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। উত্তর লাকুরতলার এই রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। সোনারবাংলার একই স্থানে রয়েছে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৬টি প্রতিষ্ঠান।
লাকুরতলা সোনারবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব দিক ঘেঁষা হাই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঠিক তার পিছনে রয়েছে ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য উত্তর লাকুরতলা কমিউনিটি ক্লিনিক। হাইস্কুলের একদম পশ্চিম দিক ঘেঁষে রয়েছে উত্তর লাকুরতলা মফিজিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা। এলাকার মুসুল্লিদের বিশাল জামে মসজিদ। ঠিক তার পিছনে রয়েছে উত্তর লাকুরতলা সোনারবাংলা হাফিজি ক্যাডেট নুরানী মাদরাসা।
একই স্থানে পিঠাপিঠি ৬টি প্রতিষ্ঠানের নজির খুব কম রয়েছে। বহু আগেই এই রাস্তাটি পাঁকা হওয়ার দাবিদার থাকলেও আজ পর্যন্ত হয়নি পুরো সলিং। মহাসড়ক থেকে স্কুল পর্যন্ত সলিং রাস্তার দশা কর্দমাক্ত রাস্তার চেয়েও খারাপ। গতবছর থেকে লাকুরতলা সোনারবাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঁচতলা ভবন নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় মালবাহী বড় মাহিন্দ্রা চলে এই রাস্তা দিয়ে।
গতবছর নামে মাত্র দায়সাড়াভাবে কয়েক বস্তা বালু খোয়া দিয়ে কাজ করেছে প্রকল্পটির ঠিকাদার।
শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজও শুরু হবে।
এলাকাবাসী বলছেন, আমাদের বিদ্যালয়গুলোর বড় ভবন হচ্ছে এটা আমাদের জন্য একান্ত সৌভাগ্যের বিষয়। ইউনিয়নের অন্ততঃ আটটি গ্রাম থেকে লেখাপড়া করতে আসা হাজারো শিক্ষার্থীরা না হয় করোনার কারণে এবারের মত দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেলও হালটের রাস্তা দিয়ে গাড়ি, মটরসাইকেল, অসুস্থ ব্যক্তি,
জনসাধারণ কিভাবে চলবে? একটু বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করে অনতিবিলম্বে ২ কিলোমিটার রাস্তাটি পাঁকা করে বিদ্যালয়গুলোর ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রাখার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় জনগণ।