পটুয়াখালীর গলাচিপায় ক্রয়কৃত জমি দখল করে প্রতিপক্ষরা জোর পূর্বক দোকান ঘর নির্মানের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছোট গাবুয়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী মো. আল আমিন গাজী হচ্ছেন ছোট গাবুয়া গ্রামের মৃত. নুর মোহাম্মদ গাজীর ছেলে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. আল আমিন গাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকাল ৩টায় লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ কুমার গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। অভিযোগ সূত্রে ও আল আমিন গাজী জানান, দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ বছর আগে মোসা. শাহিনুর বেগম, মোসা. শাহনাজ বেগম, মোসা. পরিনুর বেগমদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে বসবাস করছি। হঠাৎ করে মো. সিদ্দিক হাং গং আমার বসবাস কৃত ঘরের সামনে জবরদখল করে দোকান ঘর তোলার পায়তারা করছে। আমি বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানিয়েছি। প্রতিপক্ষরা আমাকে উক্ত জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন এবং আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখাচ্ছে। আমি সবসময় ভয়ে আছি।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার ক্রয়কৃত তফসীলি সম্পত্তিতে আছি। যার মৌজা- ছোট গাবুয়া জে,এল নং-১৮, এস,এ খতিয়ান নং- ২৩৩, দাগ নং- ৮৮১। জমির পরিমান ১.৬৭ একর। এ বিষয়ে আল আমিন গাজীর স্ত্রী মোসা. মরিয়ম বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার স্বামী কয়েক বছর আগে দিন মজুরের কিছু টাকা সঞ্চয় করে এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই জমি ক্রয় করেন। সেই জায়গায়ই আমরা এখন থাকি। আমার শ^শুর, শাশুড়ীর কোন কিছুই পাই নাই। নদীতে সব নিয়ে গেছে। আমার স্বামীর এই জায়গার সামনে প্রতিপক্ষরা জোর করে দোকান ঘর তুলতে চায়।
তারা দোকান তুললে আমাদের ঘর থেকে বের হওয়ার (যাতায়াতের) পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আমার আমার স্বামীকে হুমকিও দিতেছে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ সিদ্দিক হাওলাদারের কাছে জানতে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনির হাওলাদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. হালিম হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, দু’পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরএম শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এএসআই দিবাগার বলেন, দু’পক্ষকে ডেকে সালিশীর ব্যবস্থা করা হবে।