শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে করায় বিয়ের ৭ দিনের মাথায় প্রেমিকা দিতিকে (১৮) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিক রুহুল আমিন (৩০)। বুধবার রাতে (২৯ জুন) নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছে রুহুল আমিন। নিহত দিতি (১৮) ওই এলাকার মুছা মিয়ার মেয়ে।
আর অভিযুক্ত যুবক রুহুল আমিন একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। সে মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে। এদিকে ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহত দিতির বাবা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। একইদিন বিকেলে গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিনের সঙ্গে দিতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বৃহস্পতিবার অন্য এক ছেলের সঙ্গে দিতির বিয়ে দেয় পরিবার। বিয়ের পর দিতিকে তার বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজে যান তার স্বামী খাইরুল। বুধবার রাত ৯টার দিকে রহুল আমিন তার ভাবিকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যান। বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকির পর দিতি দরজা খুললে সঙ্গে সঙ্গে রহুল আমিন দা দিয়ে তার মাথায় কোপ দেন। এতে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন দিতি। ওই সময় তার মা চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন, তখন দৌড়ে পালিয়ে যান রুহুল আমিন। পরে স্বজনরা দিতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে মারা যান দিতি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রুহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক করে। অভিযুক্তকেও ধরতে সন্ধান চালাতে থাকে পুলিশ। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে ধরা দেন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল নিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, প্রেমঘটিত কারণে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে রুহুল আমিন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় দিতির বাবা থানায় মামলা করেছেন।