কমলাপুর থেকে রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সকাল ৮টা তেও প্লাটফর্মে এসে পৌঁছায়নি ট্রেনটি। চিলাহাটির উদ্দেশ্যে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা নীলসাগর এক্সপ্রেসের। সেটিও প্লাটফর্মে আসেনি সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
একই অবস্থা খুলনার উদ্দেশ্যে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের সুন্দরবন এক্সপ্রেসের। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কর্নফুলি কমিউটার ছাড়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে তা প্লাটফর্মে দেখা যায়নি। ফলে অনেক যাত্রীই ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা ট্রেনের অপেক্ষায় বসে আছেন। কেউ কেউ স্টেশনেই শুয়ে আছেন। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবারের সব ট্রেনই ২ থেকে ৩ ঘণ্টা দেরি করেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এবার ঈদের আগে-পরে কোনো ট্রেনেরই শিডিউল ঠিক ছিল না। ট্রেনের ফিরতি টিকিট কাটতে লেগেছে দুই দিন আর যেতেও লাগছে দুই দিন।
স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে হালকা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রূপালি আক্তার। তিনি বলেন, ভোর থেকেই বসে আছি। অসুস্থ হওয়ায় বাসে যেতে পারি না। তাই কষ্ট করে অপেক্ষা করছি। কিন্তু ট্রেনের দেখা নেই। তিনি বলেন, দুই দিন অপেক্ষা করে ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। কিন্তু যেতেও কি দুই দিনই লাগবে!