আসন্ন পবিত্র ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি। ঢাকায় কর্মজীবী মানুষ আপনদের সঙ্গে ঈদ করতে কয়েক দিন ধরে বাড়ি যেতে শুরু করেছেন। শুক্রবার সকালে ঘাট এলাকায় ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ঘাটে ফেরি আসার সাথে সাথে হাজার হাজার মানুষ ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
যাত্রীদের ভিড়ের কারণে যানবাহন পারাপার না করে শুধু যাত্রী পারাপার করছে ফেরি-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ।
এদিকে আরিচা-নগরবাড়ি নৌ-রুটে ট্রলারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখার প্রশাসন ঘোষণা দিলেও এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের মালিক-শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছে থেকে ২ থেকে ৩০০ টাকা করে নিয়ে পারাপার করছেন। ট্রলারে অতিরিক্ত ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাত্রী পারাপার করা হলেও যেন দেখার কেউ নেই।
এছাড়া, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে লঞ্চে ও আরিচা-নগরবাড়ি নৌ-রুটে লঞ্চ, স্পিডবোটে ধারণক্ষমতার চেয়ে দুই তিন গুণ যাত্রী বেশি নিয়ে নদী পারাপার করছেন দুর্নীতিবাজ মালিক শ্রমিকরা। ভরা নদীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করা হচ্ছে ঘরমুখো মানুষদের।
এদিকে পদ্মা-যমুনা নদীতে স্রোতে ফেরি চলাচলে সময় বেশি লাগছে। তবে ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ নৌ-রুটে যানবাহন একে বারে কম পারাপার হওয়ায় ঘাট এলাকায় এবার ঈদে কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি এখনও। এছাড়া, ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারণে ঘাট এলাকায় আসতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে বলে অনেক যাত্রীরাই জানিয়েছেন।
ঢাকায় কর্মজীবী মানুষেরা আপনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় যাত্রীদের ঘাট এলাকায় উপচে পড়া ভিড় পড়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে ঈদে ঘরে ফেরা শিশু ও বৃদ্ধ মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, এ নৌ-রুটে চলাচলরত বেশির ভাগ ফেরি দীর্ঘ দিনের পুরোনো হওয়ার কারণে নদীর স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘাটে ভিড়তে ফেরিগুলোর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই গুণ লেগে যাচ্ছে।