কক্সবাজারের রামুতে মমতাজ বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে ছয় টুকরো করে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগে পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে জেলা কারাগার থেকে রাশেদাকে রামু থানায় নেওয়া হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে রামু থানার পুলিশ।
শুনানি শেষে বিচারক তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জুলাই বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম উমখালীতে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মমতাজ বেগমকে। এরপর তার মরদেহ ছয় টুকরা করে বস্তায় ভরে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে ফেলা হয়। ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় মাটি খুঁড়ে নিহতের মরদেহের টুকরাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে মমতাজের একমাত্র ছেলে মো. আলমগীরের স্ত্রী রাশেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। ১৮ জুলাই বিকেলে আদালতের মাধ্যমে রাশেদাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর পরদিন ১৯ জুলাই মমতাজের মেয়ে আয়েশা বেগম বাদী হয়ে রাশেদা বেগম, তার দুই ভাই অলী উল্লাহ, তারেক উল্লাহ এবং বাবা সৈয়দ নুরের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত রাশেদা বেগম। কারগার থেকে আনার পরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারিবারিক কলহের জের ধরে রাশেদা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাশুড়ি মমতাজকে হত্যা করেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তার অনুসন্ধান চলছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ১৬ জুলাই বিকেলে মমতাজ বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলের বউ রাশেদা বেগম। এরপর মরদেহ কেটে ছয় টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করে পুঁতে রাখেন। এ সময় ছেলে মো. আলমগীর (৩২) বাড়িতে ছিলেন না। তিনি কক্সবাজার সৈকতের একটি আবাসিক হোটেলের কর্মচারী।