অনলাইন ডেস্ক
করোনার উৎপত্তিস্থল চীন এবার এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে আশার আলো দেখাচ্ছে। বেইজিংভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের দাবি, তাদের কোভিড-নাইনটিনের ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ ইতিবাচক ফল দিয়েছে।
রাশিয়াও তাদের একটি ওষুধের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলার দাবি করেছে। দু’দেশের ওষুধ ও ভ্যাকসিন চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশও সুফল পাবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী চিকিৎসকরা।
চীন যে পাঁচটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়েছে, সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনটি এর মধ্যে অন্যতম। সিনোভ্যাকের করোনাভ্যাক টিকা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ইতোমধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরে কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষে এবার ব্রাজিলে হবে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা।
বেইজিংভিত্তিক বায়োটেক সংস্থাটি ১০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে। এদিকে ভ্যাকসিনের কয়েক কোটি ডোজ আগেভাগেই পেতে চায় ইউরোপের চার দেশ জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর টিকা বাজারজাত করে আলোচনায় আসে সিনোভ্যাক বায়োটেক।
এদিকে, রাশিয়া তাদের ‘আভিফাভির’ ওষুধ প্রয়োগে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানিয়েছে।
রাশিয়া মস্কো রুদেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসক ও শিক্ষক অধ্যাপক ডা. সেলিম রেজা বলেন, ‘আভিফাভির’ ওষুধটি রাশিয়ার বিভ্ন্নি হাসপাতালে ব্যবহার হচ্ছে।
আর এই ‘আভিফাভির’ ওষুধ দিয়ে ভালই সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। আর রাশিয়ার সরকার বলেছেন এই ওষুধ ফ্রিতে দেয়া হবে। এই ওষুধ ইতোমধ্যে ১০/১২ টি দেশ নেয়ার জন্য আবেদন করেছে। আশা করি বাংলাদেশের সরকার আবেদন করলে অবশ্যই সেটি দেবে।
রাশিয়ার ওষুধটি আর কয়েক মাসের মধ্যেই বিপুল উৎপাদন শুরু হবে। চীনের ভ্যাকসিনটিও শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলে আশা বিশ্লেষকদের।