সঞ্জিব দাস, গলাচিপা, পটুয়াখালী, প্রতিনিধিঃ
একটি ঘরের আশায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের জেলে মোসলেম গাজীর পরিবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া হতদরিদ্রের জন্য দুই দুইবার সরকারি ঘরের জন্য নামের তালিকা দিয়েও আজ পর্যন্ত সরকারি ঘর থেকে বঞ্চিত পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের জেলে মোসলেম গাজীর। তার কপালে জুটলো না একটি হতদরিদ্রের ঘর। রৌদ্র, বৃষ্টি, খরা ও বাতাসের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে অসহায় মোসলেমের পরিবারের। দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের। সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, রামনাবাদ নদীর পারে ওয়াপদার পাশে কোন রকমে থাকি আমি। ২০ বছর পর্যন্ত অন্যের সাথে নদীতে মাছ ধরে জীবন চালাই। এইখানেই বড় হয় আমার ২ মেয়ে ও ২ ছেলে। আমার পরিবারটি দরিদ্র তাই অল্প শিক্ষায় শিক্ষিত করে বিয়ে দিয়ে দেই আমার অল্প বয়সের দুই মেয়েকে। ছেলে স্থানীয় বিদ্যালয়ে পড়ে। তার স্ত্রী রিনা বেগম জানান, আমার স্বামী পেশায় একজন জেলে। মানুষের সাথে নদীতে মাছ ধরে। তার উপরেই আমরা সকলেই নির্ভরশীল। তার যা আয় হয় তা দিয়ে খাওয়ার খরচ যোগাতেই কষ্ট হয় ঘর তুলব কী করে। শুনেছি সরকার নাকি ঘর দেয়। যদি আমাদেরকে ১টি ঘরের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারতাম। কোন টিনের চালায় মাথা গুঁজিয়ে বাঁচাচ্ছি জীবন। সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষকে কেউই মূল্য দেয়না। কথা বলতে বলতে এইখানেই এসে নীরব হয়ে যান জেলে মোসলেম গাজীর স্ত্রী। কাঁদতে থাকেন অঝর অশ্রু চোখে নিয়ে। তাদের এই সব কথা শুনে চলে আসার সময়, স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার আকন বলেন, আসলেই মোসলেম গাজী অসহায় জেলে ও গরিব মানুষ। ওর জন্য সরকারি ১টি ঘর একান্ত প্রয়োজন। ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ঘর আসলে মোসলেমের নাম দেওয়া হবে যাতে সে ঘর পায়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইউনিয়ন পর্যায়ে ঘর আসলে জেলে মোসলেম গাজীর জন্য ১টি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি দেখব।