ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের জামিনে মুক্তির আটদিন পর একই শাখার খালেদও জামিনে মুক্তি পেলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) কারা হেফাজত থেকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বেরিয়ে যান খালেদ। তার বিরুদ্ধে করা সাতটি মামলার প্রতিটিতেই জামিন পেয়েছেন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ‘সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুদকের করা মামলায় ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত থেকে জামিন পান খালেদ। সন্ধ্যায়ই জামিনের কাগজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসে।
‘এরপর খালেদকে কারা হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কারা হেফাজত থেকে ছাড়া পান। ’
জামিন পেলেও রাতে বিএসএমএমইউ হাসপাতালেই ছিলেন খালেদ। কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালটিতে আনা হয়।
ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত সূত্র জানা যায়, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় এ আদালত বৃহস্পতিবার খালেদের জামিন মঞ্জুর করেন। দুদকের করা এ মামলার জামিনের মধ্য দিয়ে নিজের বিরুদ্ধে হওয়া সাত মামলাতেই জামিন পেলেন তিনি।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। তবে খালেদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়, তিনি অসুস্থ। এর সপক্ষে চিকিৎসা সনদ আদালতে জমা দেওয়া হয়। ’
খালেদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই সময় ক্লাবটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালল করছিলেন খালেদ। অভিযানে ক্লাবটি থেকে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম, জুয়ার কয়েক লাখ টাকা ও শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ওই দিনই গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় খালেদকে।
এরপরেই খালেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারের দুটিসহ মোট সাতটি মামলা হয়। খালেদ গ্রেফতারের তিন সপ্তাহ পর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম তেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়।