গত ২৩ আগস্ট বাসা থেকে বের হয়ে উধাও হয়েছেন কুমিল্লার সাতজন কলেজছাত্র। কেউ কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে আবার কেউ তাবলিগে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। যাওয়ার সময় তেমন টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন কিংবা পোশাকও নেননি তারা। এঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অভিভাবকরা । আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো বিষয়ের প্রতি কখনও তারা সন্তানদের আগ্রহ দেখেননি। কলেজ, কোচিংয়ের বাইরে যে সময়টি পেতেন বাসায় বসে তারা বইপুস্তক কিংবা মোবাইল ফোনে ধর্মীয় ওয়াজ নসিহত ও আলোচনা শুনে সময় কাটাতেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিজ নিজ সন্তানদের কোনো শত্রু নেই বলেও জানান তারা।
নিখোঁজ হওয়া সাত শিক্ষার্থী হলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত (১৯), একই কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের আমিনুল ইসলাম আলামিন (২৩), ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান বিন রহমান (১৭), একই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সামি (১৮), কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম (১৮) ও একই কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহাল (১৭) । এদের মধ্যে সবার সিনিয়র ঢাকা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স সম্পন্ন করা নিলয় (২৫)।
নিখোঁজ শিক্ষার্তীদের বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তারা পরস্পর পরিচিত।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিসিংয়ের জিডি হাতে পেয়েছি। গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। তারা দলবদ্ধভাবে কোথাও গিয়েছে, নাকি অন্য কোনো বিষয় তা তদন্তের পর বলতে পারবো। ’
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব জানান, র্যাব বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বল চাচ্ছি না। আশা করি, দ্রুতই আপনাদের অগ্রগতি জানাতে পারবো।