December 24, 2024, 4:46 pm

১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেই জজ মিয়া।

অনলাইন ডেক্স
  • Update Time : Monday, September 12, 2022,
  • 41 Time View

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসানো আসামি জজ মিয়া ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার (সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে তার আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এ বিষয়ে রিট করার অনুমতি নিয়েছেন।

গত ১১ আগস্ট জজ মিয়ার পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মোহাম্মদ কাউছার স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১১ জন বরাবর এ বিষয়ে আইনি নোটিশ দেন।

আরও যাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন- ঢাকার জেলা প্রশাসক, মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), নোয়াখালীর সেনবাগ থানার ওসি, পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), তৎকালীন আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, তৎকালীন এএসপি আব্দুর রশিদ, তৎকালীন এএসপি মুনশি আতিকুর রহমান এবং তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিন।

নোটিশে ওই ঘটনার জন্য জড়িত ব্যক্তিদের দায় নির্ধারণের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের কাছ থেকে ওই ক্ষতিপূরণ আদায় করে জজ মিয়াকে দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লুৎফুজ্জামান বাবরসহ জড়িত ব্যক্তিদের স্থাবর সম্পত্তি জব্দের আইনগত পদক্ষেপের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। নোটিশে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় হাইকোর্টের রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

তবে নোটিশে কোনো সাড়া না পেয়ে এবার হাইকোর্টে রিট করছেন জজ মিয়া।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতাকর্মীসহ ২২ জন নিহত হন।

এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় ‘জজ মিয়া’ নামে ওই যুবককে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে নেয় সিআইডি। ২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।
পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এ মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। জজ মিয়া দাবি করেন, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার জবানবন্দি আদায় করা হয়। এরপর অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া জজ মিয়াকে। চার বছর তিনি কারাগারেই ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71