মোবাইলে অপরিচিত নম্বরে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের শুরু। ৯ মাস ধরে চলে সম্পর্ক। শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নরসিংদী থেকে বোদায় ছুটে আসেন ওই তরুণী। পরে রাতে জেলার বোদা উপজেলার প্রসাদ খাওয়া এলাকার এক আম বাগানে বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শনিবার রাতে বোদা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫), আপন (২৫), আশরাফুল ইসলাম (৩০), আলমগীর হোসেন (২২)। প্রেমিক আব্দুল মালিক জেলার বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে, আপন প্রসাদ খাওয়া এলাকার রাহুলের ছেলে, আশরাফুল ইসলাম একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে ও আলমগীর বামনপাড়ার গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে।
মামলার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ তার বন্ধু আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে আপন ও আশরাফুল পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, অপরিচিত নম্বরে পরিচয়ের মধ্য দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় আব্দুল মালেকের সঙ্গে। ৯ মাস ধরে চলা প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় নরসিংদী থেকে বোদায় ছুটে আসেন ওই তরুণী। পরে বন্ধু আলমগীরের সহযোগিতায় প্রেমিক তরুণীকে নিয়ে বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকায় একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় আশরাফুল ও আপন নামে দুইজন সেখানে আসে। বাড়িটিতে লোকজন না থাকায় তরুণীর বিষয়টি খটকা লাগে। সেখানে থাকতে রাজি না হলে, রাতেই কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় প্রেমিক মালেক।
পরে ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরও ২-৩ জনকে পাহারায় রেখে মেয়েটিকে একটি আমবাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে স্থানীয়রা বাগানে টর্চলাইন জ্বালিয়ে এলে মেয়েটিকে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, বিয়ের প্রলোভনে পড়ে নরসিংদী থেকে ওই তরুণী পঞ্চগড় আসে। পরে গণধর্ষণের শিকার হলে থানায় মামলা করে। মামলার পর আমরা অভিযান চালিয়ে মালেক ও তার সহযোগী ইজিবাইক চালক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠিয়েছি। খবর পেয়ে তরুণীর পরিবার থানায় ছুটে আসে। ওই তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।