মানিকগঞ্জ সদরে কাবুল খান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-৪-এর মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. আরিফ হোসেন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৫০ বছরের বিপ্লব হোসেনের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদরের গড়পাড়া ইউনিয়নের পাঞ্জনখাড়া এলাকায়।
তিনি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
র্যাব জানায়, রাজনৈতিক মতবিরোধের জেরে ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে মানিকগঞ্জ সদরের গড়পাড়া এলাকার কাবুল খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন মোতালেব হোসেন বাদী হয়ে বিপ্লব হোসেনের নাম উল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন, মনির চৌধুরী, নিপ্পাই, মোশারফ হোসেন, সুনীল, উজ্জল মিয়া, শহীদসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়ার পর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকায় বাকিদের খালাস দেয়া হয়। রায়ের সময় আদালতে আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
উচ্চ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে উজ্জল মিয়াকে খালাস দেন এবং বাকিদের আগের সাজা বহাল থাকে। এ ছাড়া কারাভোগের সময় দণ্ডিত মোশারফ হোসেনের মৃত্যু হয়। এর আগে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট মো. আরিফ হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর বিপ্লব হোসেন ঢাকায় পালিয়ে যান এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রেও নাম পরিবর্তন করেন। মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছিলেন। কখনও দোকানের কর্মচারী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, বিভিন্ন সরকারি অফিসে দালালিও করেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে দীর্ঘ ২৩ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।