সাগরে জাল ফেললেই ধরা পড়ছে ইলিশ। এসব ইলিশ সাগর থেকে ট্রলারে করে আনা হচ্ছে। সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে প্রতি মণ ইলিশের দাম কমেছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। পাইকারি বাজারে দাম কমায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। পটুয়াখালীর স্থানীয় বাজারে কেজিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমতে দেখা গেছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে শুক্রবার পর্যাপ্ত প্রচুর পরিমাণ ইলিশের সরবরাহ দেখা গেছে। দুপুরের দিকে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ভেড়া একটি ট্রলার থেকে ৭০ মণ মাছ আড়তে তোলা হয়। গড়ে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২১ লাখ টাকায় বিক্রি হয় সব মাছ।
ট্রলারের জেলে আবুল কাসেম গণমাধ্যমেক বলেন, ‘সাগরে ৪ দিন মাছ ধরেছি। সাগর উত্তাল হওয়ায় নিরাপদে আশ্রয় নিতে মহিপুরে এসেছি। ট্রলারের সব মাছ ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পেরে আমি খুব খুশি। এত কম সময়ে এত মাছ এ মৌসুমে আর পাইনি। ’
আরেক ট্রলার মাঝি আব্দুল আজিজ জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন ধরে গভীর সাগর থেকে মাছধরা ট্রলারগুলো উপকূলে ফিরছে। তাদের ধরা ইলিশে স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় ইলিশের দাম কমেছে কেজিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন মাসুম বেপারি গণমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচুর ইলিশ আসছে। সাগর উত্তাল থাকায় বিভিন্ন এলাকার ট্রলারগুলো মহিপুর বন্দরে আশ্রয় নিচ্ছে। আর ওইসব ট্রলারের মাছ এখানে বিক্রি করা হচ্ছে।
পটুয়াখালী নিউ মার্কেট এলাকায় ১ কেজিতে ৫টি ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
মাছ ব্যবসায়ী মো. জহির বলেন, ‘৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির নিচে প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় আর ১ কেজির ওপরের সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ৩০০ টাকায়। ’
ইলিশ কিনতে আসা শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম সংবাদ মাধ্যমেক বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। কিছু ইলিশ কিনেছি আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পাঠাবো। ’
আরেক ক্রেতা বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘ইলিশের দাম একটু কম থাকায় আমি ৫ কেজি ইলিশ কিনেছি। মাছগুলোও ভালো। ’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য অফিসার আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বড় বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। বাজারের দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। ’