যশোর সদর উপজেলার সাজিয়ালী গ্রামে আলম নামে এক রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। শুক্রবার (২৩ সেপ্টম্বর) বিকেলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকার কারণে বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। পুলিশের দাবি, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আলম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যশোরে বাস করেন।
নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম জানান, তার স্বামী আলম চুড়মনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার রাইচ মিলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনি চেয়ারম্যানের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন। মুন্না নির্বচনে পরাজিত হওয়ার কারণে নতুন চেয়ারম্যান দাউদের লোকজন তার বাড়ি ভাঙচুর ও এলাকা থেকে তাডিয়ে দেন। এরপর তারা যশোর শহরে ভাড়া থাকতেন। দুপুরে চুড়মনকাটি এলাকায় গেলে দাউদের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে মারপিট করে অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে যান। খবর পেয়ে মুন্না পুলিশকে ফোন দিলে তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির কিছু সময় পর তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় জডিতদের আটকের অভিযান শুরু হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।