জ্বালানী তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার রাজধানীর বাড্ডায় জনসভা করেছে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার মেগা প্রজেক্টে দুর্নীতি করে টাকা পাচারের পর দেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে। নিজেদের সিন্ডিকেটের কারণে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকারের অপশাসনে বাংলাদেশে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অর্থনীতির বিপর্যয় সরকারের দুর্নীতির কারণে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে সাফাই গেয়েছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্রে সুবাতাস বইছে। এটা মিথ্যাচার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বারবার গণতন্ত্রকে ধূলিসাৎ করেছে। গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এই আওয়ামী লীগ। তাদের পক্ষে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দলমত নির্বিশেষে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে হটাতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি’র সামনে একটাই টার্গেট সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দিতে হবে। ইভিএম এর ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। শেখ হাসিনার কথায় বিএনপি বিশ্বাস করে না। অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে রাস্তায় আসুন। সেখানে ফয়সালা হবে।
সমাবেশে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান বলেন, দমন নীতি চালিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। আওয়ামী লীগ আবারও একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকার ষড়যন্ত্র করছে। ঢাকায় আরেকটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। রাজপথে রক্ত দেয়া হবে এরপরও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, অগণতান্ত্রিক আচরণ করিয়েন না। শাওনের রক্তের প্রতিশোধ নেয়া হবে। বিএনপি জেগেছে, সরকার পার পাবে না।