নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘাসিয়ার চরে দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে পর ঘটনাস্থল থেকে তিন জলদস্যুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন ফখরুল বাহিনীর সদস্য মো. কবির, মো. শাহরাজ ও নবীর উদ্দীন ওরফে নূরনবী। তাদের সবার বাড়ি ঘাসিয়ার চরে।
হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের পর রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে ভোররাত থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত জলদস্যু ফোকরা ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল জানান , দীর্ঘদিন ধরে ঘাসিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে জলদস্যু খোকনের বাহিনী। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে খোকন। তখন চরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেক জলদস্যু ফখরুল ইসলামের হাতে। সম্প্রতি খোকন জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ফখরুলের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে ভোর রাতের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ফখরুল বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে জলদস্যু খোকন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি একনলা বন্দুক, দুটি গুলিসহ বেশ কিছু ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও রড উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হাতিয়া থানায় হত্যা এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চরছে বলে জানান ওসি।