নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বছর চারেক আগে, কিন্তু এখনও চালুই হয়নি গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার। এতে অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কোটি-কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় জনগণ।
গণপূর্ত বিভাগ বলছে, নির্মাণ কাজ শেষে ট্রমা সেন্টারটি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।
তবে সিভিল সার্জন জানালেন, জনবল নিয়োগের পরে ট্রমা সেন্টারটির কার্যক্রম শুরু হবে।
স্থানীয়রা জানায়, অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে নির্মিত ভবন ও তার যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র। সেখানে প্রতিদিন বসছে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, নির্মাণ কাজ শেষ করে ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন এটার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তো তাদের।
তবে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জনের মুখে ভিন্ন কথা। তিনি জানালেন, জনবল নিয়োগের কারণে থেমে আছে ট্রমা সেন্টারটির কার্যক্রম। নিয়োগের পরেই ট্রমা সেন্টারটির কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ট্রমা সেন্টার ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে চারতলা বিশিষ্ট এই ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। তবে এখনো উদ্বোধন না হওয়ায় চালু হয়নি সেবা কার্যক্রম।