প্রজনন মৌসুম হওয়ায় আজ (শুক্রবার) থেকে বন্ধ ইলিশ মাছ ধরা। নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারগুলোতে পাওয়া যায়নি দেশের জাতীয় মাছটি। এই অজুহাতে অন্যান্য মাছের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। আর শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও এর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনই চিত্র ধরা পড়ে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় কেজির বেশি ওজনের কাতলা ও রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা। আর এক কেজির কম ওজনের বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা। যা সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০-৭০ টাকা বেশি।
বড় আকারের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি। আর একটু ছোট পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে। এসব মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। এ ছাড়াও টাটকিনি, টেংরা ও মাঝারি আকারের চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে।
মাছ বিক্রেতাদের কাছে দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, ‘বাজারে ইলিশ মাছ না থাকার কারণে অন্যান্য মাছের দাম একটু বেড়েছে। আর দেশি মাছের সরবরাহ কম থাকায়ও মাছের দাম একটু বাড়তি। ’
বাজার ভেদে ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫-১৭০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা ও লেয়ার মুরগির ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি দাম কেন বেড়েছে এর জবাবে ব্যবসায়ী কামরুল বলেন, ‘পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের অজুহাতের শেষ নেই। একেক সময় একেক কারণে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন বলছে উৎপাদন কম, যে কারণে দাম বেড়েছে। ’
গত সপ্তাহেও ৬৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস আজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়।
বাজারে শীতকালীন সবজির পরিমাণ বাড়লেও দাম ঊর্ধ্বমুখী। কপি আকার ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। শসা ৮০-৯০, বেগুন ৯০-১০০ ও টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। আর করলা ৮০, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, ঢেঁড়স ৭০, কচুর লতি ৮০, পেঁপে ৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
বাজারে আলু ৩০ থেকে ৪০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি ৫০ ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।
বিআর ২৮ চালের দাম দুই টাকা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। পাইজাম চাল ৫৫-৫৬, মিনিকেট ৬৮-৭০ ও মান ভেদে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়।
বাজারগুলোতে ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। হাঁসের ডিমের ২১০ থেকে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।