বেশি দিন পালিয়ে থাকতে পারলেন না আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ১০ মাসের মধ্যেই আত্মগোপনে থাকা কুষ্টিয়ার আসকর আলীকে র্যাব ধরেছে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা এলাকা থেকে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহ র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে গত শনিবার রাতে তাকে ধরতে সক্ষম হয়।
রোববার (৯ অক্টোবর) বেলা ১২টায় র্যা বের কুষ্টিয়া ক্যাম্পে সাংবাদিক সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মো. আজম (২৩)’কে একই ইউনিয়নের আড়িয়া মণ্ডলপাড়া মো. স্বপন, মো. আসকর আলী, মো. ইশারত মণ্ডল পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ খালের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
নিহত আজম আসামি মো. স্বপনের কাছে টাকা পেতেন। সেই পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় মো. স্বপন ও উল্লেখিত আসামিরা মো. আজমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আজমের বাবা বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আদালত আসামিদের অনুপস্থিতিতে প্রত্যেক আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন।
স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, রায় ঘোষণা পর থেকেই র্যাপিড আকশ্যান ব্যাটালিয়ন র্যাব পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়।
র্যাবের কুষ্টিয়া কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, একজনকে ধরতে পেরেছি। বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।