অনলাইন ডেস্ক
লাদাখের গালভান উপত্যকার কাছে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলার পর চীন বৃহস্পতিবার তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত এলাকায় একটি মিলিটারি ড্রিল করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই ড্রিলে মূল ভাগে ছিল যুদ্ধের ট্যাঙ্ক। তবে এছাড়াও ছিল ফাইটার জেট ও চীনা সেনা।
সচেতন মহল মনে করছে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি সামরিক মহড়ার মাধ্যমে দেখে নিতে চাইছে যে তাদের ট্যাঙ্ক, যুদ্ধ বিমান এবং সৈন্যরা উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথে যুদ্ধ করতে কতটা প্রস্তুত রয়েছে।
এই সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ানোর জন্য চীনা সরকার সমগ্র দেশ থেকে অস্ত্র, সেনা, ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ইত্যাদি সংগ্রহ করেছিল। এতে বেশ কয়েকটি নতুন অস্ত্রও সামিল করা হয়েছিল। যেমন টাইপ ১৫ লাইটওয়েট ট্যাঙ্কস, এইচজে -১০ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ইত্যাদি।
তিব্বত মালভূমিতে এই মহড়া চালানো হয়। এই অঞ্চলের উচ্চতা ৪৭০০ মিটারেরও বেশি। কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুগুলিতে ট্যাঙ্ক এবং ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আক্রমণ করা হয়। এতে একাধিক রকেট লঞ্চার, হাউইটজার কামান এবং অ্যান্টিএয়ারক্রাফট সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়।
এর আগেও চীন গত তিন মাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার সামরিক মহড়া চালিয়েছে। একটি সূত্রে খবর, চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাতে অজ্ঞাত স্থানে একটি সামরিক মহড়া চালানো হয়। যার জেরে জাপান ও তাইওয়ান বেশ চিন্তায় পড়েছিল।
জাপান এবং তাইওয়ান আশঙ্কা করছে চীন করোনা ভাইরাস ব্যবহার করে তাদের আক্রমণ করতে পারে। চিনের নানান মুভমেন্টের ফলে আতঙ্কিত হয়ে জাপান চিন সংলগ্ন মিয়াকোজিমা দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩৪০ সেনা মোতায়েন করেছে।