বাড়িতে একা পেয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে মারুফ আলম ভূঁইয়া নামে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এমন ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ও বাদুরিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির ফখরুল আলম ভূঁইয়ার ছেলে মারুফ আলম ভূঁইয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মারুফ একই গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রায় চার মাস ধরে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী তরুণী বাড়িতে একা আছে জানতে পেরে তার বাড়ি যান তিনি। এ সময় একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে স্থানীয়দের ডেকে এনে মারুফকে আটক করে।
স্থানীয়রা ভুক্তভোগী তরুণীর বক্তব্য শুনে তাকে বিয়ে করতে বললে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মারুফের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত মারুফ বলেন, ওই তরুণীর বড় বোন তাকে ফোন দিয়ে তাদের বাড়িতে ডেকে নেন। ঘরে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে মারধর করে পুলিশে দেয়।
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান বলেন, বুধবার রাতে স্থানীয়রা মারুফকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।